পাটগ্রামে ফুলকপির কেজি ২-৩ টাকা

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের সবজি ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত লালমনিরহাট জেলা। মৌসুমের শুরুতে লালমনিরহাট সদর, কালীগঞ্জ, আদিতমারী, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন ফুলকপি বোঝাই ৮-১০টি ট্রাক ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যেতো। তখন প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হতো ২০-২৫ টাকায়। কিন্তু সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে ফুলকপির দাম নেমেছে ২ থেকে ৩ টাকায়।

কৃষকরা জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৩ টাকা কেজি দরে। এতে তাদের উৎপাদন খরচও উঠছে না। অনেক কৃষক জমিতেই নষ্ট করে ফেলছেন তাদের ফসল। কেউবা খাওয়াচ্ছেন গরু, ছাগলকে।

বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর গ্রামের কৃষক বাদশা মিয়া বলেন, এখন ফুলকপির দাম কমায় কৃষকদের বেশ ক্ষতি হচ্ছে। জমিতে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে আড়াই টাকা কেজি। এই দামে বিক্রি করে হাজিরার টাকাও হবে না। ব্যবসায়ীরাও তেমন আসেনা। এখন আমরা ফুলকপি গরু, ছাগলকে খাওয়াচ্ছি ও প্রতিবেশীকে দিচ্ছি।

একই উপজেলার আরেক কৃষক ইমান আলী বলেন, আমরা সারা বছর সবজি চাষ করি। ফুলকপির হঠাৎ করে দাম কমে গিয়েছে। আমাদের লস হবে। মূলধনে উঠবে না। সামনে আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হবে।

বাউরা বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা সেলিম হোসেন বলেন, আমরা ফুলকপির বিক্রি করি ৪-৫ টাকা কেজি। দাম বেশি হলে জিনিসের চাহিদা থাকে। যেটার দাম কমে মানুষ সেটা খেতে চায় না। ফুলকপির দাম কম থাকার করার কারণে কৃষকের লোকসান হচ্ছে।