তৌহিদুল ইসলাম: লালমনিরহাটের বাজারগুলোতে প্রতি হালি ডিম বিক্রয় হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। সে হিসেবে প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় সাড়ে ১২ টাকা।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় যে খামার রয়েছে সেসব খামারের উৎপাদিত ডিম দিয়ে জেলার চাহিদা পূরণ হয়। বাইরে থেকে ডিম আমদানি করতে হয় না।
জেলা সদরের মহেন্দ্রনগর এলাকার খামারি রফিকুল ইসলাম জানান, তার খামারে দুই হাজার মুরগি রয়েছে। তিনি প্রতিদিন গড়ে ১৮০০ থেকে ১৯০০ ডিম পান। এই ডিম উৎপাদনে মুরগির খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ বিল, শ্রমিকসহ ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। তার প্রতিটি ডিম উৎপাদনে খরচ হয় সাড়ে ৭ থেকে ৮ টাকা। কিন্তু বাজারে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১২ টাকা দরে। ব্যবসায়ী প্রতি ডিমে লাভ করছে ৫ টাকা। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করেও সুফল মিলছে না।
এ ব্যাপারে শহীদ ইসলাম সুজন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘আমরা সবক্ষেত্রেই প্রতারিত হচ্ছি। অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় সিন্ডিকেট করে দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ চান।’
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লালমনিরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও বিশেষ টাস্কফোর্স টিমের সদস্য সচিব এ এস এম মাসুম উদ দৌলা বলেন, ‘আমরা ডিমের আড়ত ও খাবারগুলোতে অভিযান চালাচ্ছি। সীমিত লাভে তাদের বিক্রয়ের পরামর্শ দিচ্ছি।’