ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: এবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং বাজার অস্থিতিশীল প্রতিরোধে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলা শাখার শিক্ষার্থী-জনতা।
শনিবার সকালে নীলফামারী জেলা শহরের শাখা মাছ বাজারে গিয়ে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা। এ সময় চাল, আটা, মাছ, মাংস, মরিচ, পেঁয়াজ, কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে সরকার নির্ধারিত দরে ভোক্তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করার আহ্বান জানান তারা।
বৈষম্যবিরোধী নীলফামারী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার নেতা স্মরণ বলেন, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চার্ট প্রত্যেক দোকানে টাঙাতে হবে। মেমো বহির্ভূত কোনো ধরনের পণ্য দোকানে বেচা-কেনা করা যাবে না। তবে কিছু পণ্যের দাম অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, লবণ মোটা প্যাকেট প্রতি কেজি ৩০ টাকা, সোয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪০ টাকা, পেট্রল প্রতি লিটার ১২৫ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, ব্রয়লার ১৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০ টাকা। এছাড়া, দুধ (শহরে) প্রতি কেজি ৬০ টাকা ও গ্রামে ৫০ টাকা দরে বিক্রির জন্য ঘোষণা দিয়েছেন। ছাত্ররা প্রাথমিক ভাবে প্রত্যেক দোকানদারকে ওজনে কম না দেওয়াসহ ন্যায্য মূল্যে এসব পণ্য কেনা-বেচার জন্য অনুরোধ করেন।
ছাত্র নেতা তামিম বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বাজার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে নিজের ইচ্ছেমতো অতিরিক্ত দাম হাতিয়ে নিচ্ছে। কোটাবিরোধী আন্দোলনের পর আমরা ছাত্র-জনতা মিলে ভোক্তাদের স্বস্তি ফেরাতে বাজারে কাজ করে যাচ্ছি।
জেলা শহরে বড় বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আবু সাইদ মিলন জানান, কোনো কোনো কোম্পানি থেকে মালামাল ক্রয় করলে মেমো বা প্রাপ্তি রশিদ দেয় না। এছাড়াও প্রতি ড্রামে (১৮৬ কেজি) তিন-চার কেজি করে সয়াবিন তেল কম দেয়। তারা ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে। বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকলে, ভোক্তারা স্বস্তি ফিরে পাবেন। কোম্পানি মালিকরা সুযোগের সৎ ব্যবহার করে বাজার ব্যবস্থাকে অস্থির করে তুলছে। এ অবস্থায়, ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে।
একই বাজারের মুদি ব্যবসায়ী তাপস কুমার ভৌমিক অভিযোগ করে বলেন, অনেক কোম্পানি আছে যারা প্রতি ড্রামে এক কেজি করে টডদ কম দেয়। আর প্রভাব পড়ে ভোক্তাদের ওপর। তেলা কেনার পর মেমো বা রসিদ চাইলে উল্টো গাল-মন্দ খেতে হয় আমাদের।