ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: পঞ্চগড়ে দুটি প্রতিষ্ঠান ও তিনটি কারখানাকে মোট চার লাখ টাকা জরিমানা করেছেন চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার সদর উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন।
চা ব্যবসার বৈধ লাইসেন্স না থাকা, অনুনোমদিত ট্রেড মার্ক ও মূসক চালান ব্যবহার, ভ্যাট ফাঁকি এবং কালোবাজার থেকে চা ক্রয়ের অপরাধে মীরপুরি চাকে ৫০ হাজার টাকা ও মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, ‘চা বোর্ডের লাইসেন্স না নিয়ে অবৈধ ভাবে ব্যবসা করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এছাড়া কালোবাজার থেকে চা কিনে সরকারের বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ও ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে কিছু অসৎ চা ব্যবসায়ী। চা ব্যবসার এসব নানা ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে চা বোর্ড পঞ্চগড়ে গত তিন দিন ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।’
এছাড়াও, তিনি সকল চা ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সকল লাইসেন্স নিয়ে ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধ করে বৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনার নির্দেশনাও প্রদান করেন।
এদিকে, রোববার চা আইন, ২০১৬ এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন এবং চাষীদের কাঁচা পাতার যথাযথ মূল্য পরিশোধ না করার অপরাধে সদর উপজেলায় তিনটি বটলিফ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উত্তরা গ্রীণ টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মৈত্রী টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও নর্থ বেঙ্গল সেন্ট্রাল টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমিন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পঞ্চগড়ের বেশকিছু বটলিফ কারখানার বিরুদ্ধে চা আইন লঙ্ঘন ও কাঁচা পাতার যথাযথ মূল্য পরিশোধ না করাসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। চা বোর্ড অনিয়ম এবং আইনের লঙ্ঘন দেখলে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
বাংলাদেশ চা বোর্ডের উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সায়েদুল হক ও সদর থানার পুলিশ সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।