ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: রংপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে মুরগির দাম। তবে সবজির দাম অনেক বেশি। আদার ঝাঁঝ কিছুটা কমলেও বেড়েছে রসুনের দাম। কাঁচা মরিচে কোনো সুখবর নেই। স্থিতিশীল আছে ডিম, তেল, চাল, ডাল ও মাছ।
মঙ্গলবার রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে ১৬০-১৭০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৬০-২৭০ টাকা কমে হয়েছে ২৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০০ টাকা থেকে কমে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস দাম গত সপ্তাহের মতোই ৭০০-৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের মতোই ৪৭-৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, ঈদের কারণে অনেকের ঘরে এখনো গরুর মাংস আছে। এ কারণে মুরগির চাহিদা কমে গেছে। ফলে দাম কিছুটা কমছে।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্র্রতি কেজি টমেটো ১৮০-২০০ টাকা থেকে কমে ১৪০-১৬০ টাকা, প্রতি পিস চালকুমড়া ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৭০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৪০-৪৫ টাকা, লেবু প্রতি হালি ১০-১২ টাকা, কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহের মতোই ২৮০-৩০০ টাকা, প্রতি পিস লাউ (আকারভেদে) ৪৫-৫০ টাকা, ধনেপাতা ২৮০-৩০০ টাকা থেকে লাফিয়ে ৪৫০-৫০০ টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালি ৩০-৩৫ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়ার দাম বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, ঝিঙে ৪০-৪৫ টাকা, দুধকুষি ৩৫-৪০ টাকা, সজনে ডাঁটা আগের মতোই ৯০-১০০ টাকা, পটল ৩৫-৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ আগের মতোই ২৫-৩০ টাকা, কাঁকরোল ৩৫-৪০ টাকা।
এদিকে, আদার দাম ৫৫০-৫৬০ টাকা থেকে কমে ৪০০ টাকা এবং দেশি রসুন ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০-২০০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আাঁটি ১০-১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলুর দাম ৩৮-৪০ টাকা থেকে কমে ৩৫-৩৬ টাকা, সাদা দেশি আলু গত সপ্তাহের মতোই ৫০ টাকা এবং শিল ও ঝাউ আলু ৫৫ টাকা টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা ফিরোজ মিয়া বলেন, বাজারে কিছু সবজির আমদানি কমে গেছে। পরিবহন খরচসহ বিভিন্ন কারণে সবজির বাজার চড়া।
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৯৯ টাকা এবং দুই লিটার ৩৯৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৫-৫০ টাকা, পাইজাম ৫০-৫৫ টাকা, বিআর-২৮ ৬০-৬৫ টাকা, মিনিকেটের দাম কমে ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে খোলা চিনি ১৪০-১৪৫ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫-৬৮ টাকা ও খোলা আটা ৫৮-৬০ টাকা, ছোলাবুট ৯০-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা এবং বুটের ডাল ৯৫-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে প্রতি কেজি রুইমাছ ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কার্পু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছি মাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি।