ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম কমলেও বেড়েছে ডাল, মুরগির দাম। বুধবার রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের দরেই ১৪৫-১৫০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫-৬০ টাকা, খোলা আটা ৫০ টাকা, ছোলাবুট ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৯৫-১০০ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা, মসুর ডাল (মাঝারি) ১২০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) ১৩৫-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৫০-১৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭০-১৮০ টাকা এবং বুটডাল ৯০-১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। এছাড়া পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের দরেই ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আসা নতুন কার্ডিনাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা, শিল আলু (পুরাতন) ১০০-১১০ টাকা, নতুন গ্রানুলা আলু ৪৫-৫০ টাকা, বগুড়ার সাদা পাকরি আলু ৫৫-৬০ টাকা এবং নতুন ঝাউ আলু ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ আগের মতোই ৭০-৮০ টাকা, দেশি আদা ২৩০-২৪০ টাকা, প্রতিকেজি টমেটো ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, চিকন বেগুন ৩০-৩৫ টাকা, মাঝারি এবং গোল বেগুন ৪৫-৫০ টাকা, পেঁপে আগের মতোই ২৫-৩০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, বরবটি অপরিবর্তীত ৩৫-৪০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১০-১২ টাকা, শুকনো মরিচ আগের মতোই ৫৫০-৬০০ টাকা, প্রতিপিস লাউ (আকারভেদে) ৪০-৬০ টাকা, ধনেপাতা ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালির দাম ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা, ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, মুলা ১০-১৫ টাকা, দেশি রসুন ৩০০-৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল বাজারের সবজি বিক্রেতা ভুট্টু মিয়া বলেন, ছোলা বুট ও ডালের দাম দুদিন থেকে বেড়েছে। পাইকারিতে প্রায় সব ধরনের ডালের দাম ৫-১৫ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। এছাড়া শীতকালীন কিছু সবজির দাম কমেছে।
মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে ১৮০-১৯০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩১০-৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৪০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস আগের মতোই ৬৫০-৭২০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিও বাজারের মুরগি বিক্রেতা আলাল মিয়া বলেন, মুরগির বাজার ওঠানামা করছে। কখনো ১০-২০ টাকা কমেতো কখনো বাড়ে। খামারিরা দাম বাড়ালে আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭৩ টাকা এবং দুই লিটার ৩৪৬ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৮-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৩-৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৫৮-৬০ টাকা, বিআর-২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল সামান্য কমে ৭৮-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে আকার ভেদে রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারফু ২০০-২২০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছি মাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।