ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে- মান’ এমন প্রতিপাদ্যে রংপুরে বিশ্ব মান দিবস দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. আবু জাফর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) পংকজ চন্দ্র রায়, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস্) উত্তম কুমার পাল, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম মিলন, রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মো. শামসুর রহমান এবং ক্যাব রংপুরের সভাপতি মো. আব্দুর রহমান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোছা. জিলুফা সুলতানা।
স্বাগত বক্তব্য ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসটিআই রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (মেট্রোলজি) মফিজ উদ্দিন আহমাদ।
তিনি তার বক্তব্যে বিএসটিআই’র কার্যক্রম বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের মেয়াদে শিল্প মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বিএসটিআই’র উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ তুলে ধরেন।
ক্যাবের সভাপতি তার বক্তব্যে ভেজালবিরোধী অভিযানের জন্য বিএসটিআইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও অভিমত ব্যক্ত করেন, সকলে সচেতন হলেই মানসম্মত পণ্য তৈরী সম্ভব। সেই সঙ্গে ওজন ও পরিমাপে কারচুপিরোধে সকল ওজন যন্ত্র ক্যালিব্রেশন ও ভেরিফিকেশনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে মাসে চার বার বাজার মনিটরিং/সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণের অনুরোধ জানান।
রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সিমেন্ট, রড ও লবনের গুনগত মানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং এর নজরদারী জোরদার করার আহ্বান জানান।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস্) সকল ব্যবসায়ীকেই ভোক্তা হিসেবে উল্লেখ করে মানসম্পন্ন পণ্য তৈরীতে সবাইকে সচেষ্ট হতে বলেন।
পুলিশের রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) বিএসটিআই’র দক্ষ অফিসারগণ গুনগত মানসম্পন্ন পণ্য নিশ্চিত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এর পাশাপাশি ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদেরও সচেতন হতে অনুরোধ জানান।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘শুধুমাত্র আইন করে বা শাস্তি দিয়ে গুনগত মান নিশ্চিত করা যাবে না। বরং সবাইকে সচেতন হতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য গুনগত মানসম্পন্ন পণ্য তৈরীর বিকল্প নেই।’ সেই সঙ্গে তিনি বিএসটিআই’র জনবল ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতি বলেন, সমন্বিত উদ্দ্যোগের মাধ্যমে মান নিয়ন্ত্রণ জরুরী। সেই সঙ্গে বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক ২৭৩টি পণ্যের পাশাপাশি বাকি পণ্যগুলোরও মান নিশ্চিত করতে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।