নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে গ্রিন বার্ড মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ হাজার গ্রাহকের অন্তত ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উঠেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১২ মে) দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আলাউদ্দিন হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বুধবার পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগীরা। এরই ধারাবাহিকতায় তারা আজও বিক্ষোভ করছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় থানার সামনে ভুক্তভোগীরা অবস্থান নেয়।
বিক্ষোভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, মূল অভিযুক্তকে আমরা আটক করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা যেন উপকৃতি হয়, সেজন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগীরা অধিকাংশই নিরীহ। পাওনা টাকার ফেরত পাওয়ার দাবিতে তারা আজ বেলা ১১টা থেকে থানার সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন। ভুক্তভোগীদের আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি। আমরা একটি তালিকা করছি। তবে প্রকৃতপক্ষে কতজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সেই তালিকা পাওয়া যাচ্ছে না।
কেউ বলছেন, ভুক্তভোগী সংখ্যা চার হাজার, আবার কেউ বলছেন পাঁচ হাজার। আর টাকার পরিমাণ কেউ বলেন ৩০ কোটি, আবার কেউ বলেন ৭০ বা ১০০ কোটি। প্রতিষ্ঠানটি আসলে কত টাকা আত্মসাৎ করেছে সেটার সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
এদিকে বিক্ষোভকারী গ্রাহকরা জানান, মঙ্গলবার রাতেই প্রায় ৫ হাজার গ্রাহকের ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন গ্রিন বার্ড মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের মালিক আলাউদ্দিন হোসেন। গ্রাহকদের অধিকাংশই নিম্নবিত্তের। দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশের লোভে টাকা নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছেন না আলাউদ্দিন।
এ বিষয়ে বুধবার রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, গ্রিন বার্ড মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের কার্যালয় রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকায়। এর মালিক আলাউদ্দিন হোসেন। তিনি এটিকে সমবায় সমিতি হিসেবে পরিচালনা করছিলেন। নিম্নবিত্তরা এ সমিতিতে টাকা জমা রাখছিলেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, মালিক আলাউদ্দিন হোসেন তাদের প্রলোভন দেখিয়েছিলেন, ব্যাংকের চেয়ে অনেক বেশি মুনাফা দেবেন। কিন্তু এখন মুনাফা তো দূরে কথা, জমানো টাকাও তিনি ফেরত দিতে পারবেন না।
ওসি বলেন, আমরা ভুক্তভোগী গ্রাহকদের বোঝানোর চেষ্টা করছি আপনারা মামলা করেন আইনের আশ্রয় নেন। কিন্তু তারা যে কোনোভাবেই হোক টাকা ফেরত চাইছেন, মামলা করছেন না।