ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: কোভিড এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে উদ্ভূত বিরূপ পরিস্থিতি থেকে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের জন্য কনসেশনাল আইডিএ তহবিল থেকে বর্ধিত সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রোববার দুপুরে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজারের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ সহায়তা চান।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার এবং নবনিযুক্ত বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক তিন দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসেন।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এ সভায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন।
এ সময় অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অভিহিত করেন এবং বিভিন্ন সময়ের সহায়তার কথা তুলে ধরেন।
এছাড়া পরিবেশগত পুনরুদ্ধার এবং ঢাকা শহরের চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা নিশ্চিত এবং ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ‘বিউটিফিকেশন অব ঢাকা’ নামে একটি টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রকল্প নিয়ে কাজ করার জন্য অর্থমন্ত্রী বিশ্ব ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান।
পাশাপাশি তিনি বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, আমরা ২০১৯ থেকে এপ্রিল ২০২২ সময়ে ১ বিলিয়ন বাজেট সাপোর্ট পেয়েছি। চলতি অর্থ বছরে আরও ৫০০ মিলিয়ন বাজেট সাপোর্ট পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
গ্রিন, রেসিলিয়েন্স, ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট (গ্রিড) ডিপিসির ২৫০ মিলিয়ন করে আগামী ২ অর্থবছরে ৫০০ মিলিয়ন পাওয়া যাবে মর্মে প্রত্যাশা করছি। ২০২৩-২০২৫ সাল মেয়াদে পাইপলাইনে রয়েছে ৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব।
আইডিএ দেশগুলোর অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে আইডিএ২০ খুব সহায়ক হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী জুলাই ২০২২ থেকে জুন ২০২৫ এর জন্য নির্ধারিত ৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আইডিএ২০ সাইকেলকে স্বাগত জানান।
এ সময় তিনি কোভিড এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ উদ্ভূত বিরূপ পরিস্থিতি হতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশের জন্য আইডিএ তহবিল থেকে বর্ধিত সহায়তার অনুরোধ করেন।
এই দ্বিপক্ষীয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এবং গুয়াংজে চেন, রিজিয়নাল ডিরেক্টর ও ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন।