ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অস্থির বিশ্বের প্রভাব পড়েছে দেশের মূল্যস্ফীতিতে। গত ১২ বছরের মধ্যে আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়ে রেকর্ড সাড়ে ৯ শতাংশে দাঁড়ায়। তবে আগস্টে সাড়ে ৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হলেও সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। সেপ্টেম্বর মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। ফলে অক্টোবর মাসেও মূল্যস্ফীতি ব্যাপকভাবে কমবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে জুলাই মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। অথচ আগস্ট মাসে তা বেড়ে হয় সাড়ে ৯ শতাংশ। তবে সেপ্টেম্বর মাসে তা কমে ৯ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ। এরপর এই সূচক আর ৯ শতাংশের ওপরে উঠেনি।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমছে। গত মাসে (আগস্ট) বেড়েছিল। মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। সামনে মূল্যস্ফীতির হার আরও কমবে। এখন সয়াবিন তেলের দামও কমছে। নতুন ফসল ঘরে উঠবে। জ্বালানি তেলের ধাক্কার ফলে সারা পৃথিবীতে এখন সব পণ্যের দাম বাড়তি। তবে আমাদের সরকার প্রধান নানা পদক্ষেপ নেওয়ায় এর সুফল মিলছে।