নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বাজারে তেলের দাম বেড়েই চলেছে। এই সুযোগে রাজধানীর বাজারগুলো থেকে হঠাৎ করেই সয়াবিন তেল উধাও হয়ে গেছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও তা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। সামনে আসছে রমজান মাস আর এই সব কিছু মাথায় রেখেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দাম রাখলে ব্যবসয়ীদের বিরুদ্ধে ‘অ্যাকশন’ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
গত ২ মার্চ (বুধবার) তিনি ব্যবসায়ীদের এ হুঁশিয়ারি দেন। তবে গত বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী নতুন করে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব নাকচ করার পরই একশ্রেণির ব্যবসায়ী ভোজ্যতেলের বাজারে এ অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে বলে ধারণা করে হচ্ছে।
এর আগে ভোজ্যতেল বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আরো ১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করে।
ওই প্রস্তাবে ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৮০ টাকা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। আর ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৮৭০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবে খোলা সয়াবিন ও পামঅয়েলের দামও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।