অনলাইন ডেস্ক: ট্রেড লাইসেন্সের নির্ধারিত ফি বা মাশুলের ওপর উৎস কর আগের চেয়ে ছয় গুণ বেশি হচ্ছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে একে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
দোকান মালিক সমিতি জানায়, এখন ট্রেড লাইসেন্সের নির্ধারিত ফি বা মাশুলের ওপর উৎসে কর ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫০০ টাকার জায়গায় ৩ হাজার টাকা, অন্যান্য সিটি করপোরেশনে ৩০০ টাকার জায়গায় ২ হাজার টাকা, জেলা শহরে ৩০০ টাকার জায়গায় ১ হাজার টাকা ও পৌরসভায় ১০০ টাকার জায়গায় ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে।
সংগঠনটির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এখন আমাদের সদস্যরা লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে এই বাড়তি করের মুখে পড়ছেন। করোনার মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স নবায়নে এই বাড়তি কর তাঁদের আরও বিপাকে ফেলবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) একটি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে পাঠিয়েছিল। প্রতিবেদনে লাইসেন্সের বাড়তি ব্যয়ের প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, নতুন হারের কারণে ব্যবসার খরচ বাড়বে এবং ব্যবসায়ের পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই হার কার্যকর হলে বিশ্বব্যাংকের ব্যবসা শুরুর সূচকে ব্যয় বাড়বে অন্তত ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
দোকান মালিক সমিতি আজ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে, করোনার সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর দুই মাস দোকানপাটসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এখন বেচাবিক্রি নেই বললেই চলে। সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের কোনো অর্থ ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পাননি। এমন পরিস্থিতিতে বাড়তি কর অমানবিক। তাঁরা এটি বাতিল করার দাবি জানান।