সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট: সংযুক্ত আরব আমিরাত, কানাডা ও মরক্কো থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টন সার ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৯৪ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার ২০০ টাকা।
বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান
।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৭টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছিল। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৪টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ২টি, জননিরাপত্তা বিভাগের ২টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ২টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি, সেতু বিভাগের ১টি, বিদ্যুৎ বিভাগের ১টি এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল।
এরমধ্যে ক্রয় কমিটি ১৩টি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদিত প্রস্তাবের মোট অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ১৯৪ কোটি ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩০ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৬৭৩ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৬৮২ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও বৈদেশিক অর্থায়ন ১ হাজার ৫২১ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ১৪৮ টাকা। ’
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছ থেকে ১৭৯ কোটি ২১ লাখ ১১ হাজার ২০০ টাকায় ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক ৪২০ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় ওসিপি এস এ মরক্কো থেকে ৬ষ্ঠ লটে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিএডিসিকে ওসিপি এস এ মরক্কো থেকে ৭ম লটে ২৫২ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকায় ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিএডিসিকে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন থেকে ৪র্থ লটে ২৪২ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ৩০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে জিটুজি চুক্তির আওতায় কাতার থেকে ৬ লাখ ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।