ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমানতের পরিমাণ ২৯ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। একই সময়ে গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৭৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ হাল নাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
দেশের ব্যাংক খাতে ২০১৪ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। বিদায়ী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দেশব্যাপী পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে এ রকম এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ হাজার ২২৬টি। আর এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট বেড়ে হয় ২০ হাজার ৮৩৬টি।
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের বিকাশের ধারায় গত চার বছরে আমানত বেড়েছে ২৬ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে যার পরিমাণ ছিল তিন হাজার ১০ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৯ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা।
এজেন্ট ব্যাংকিং প্রধানত আমানত সংগ্রহের কাজ করে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঋণ বিতরণের মতো জনবল ও নিরাপদ ঋণ বিতরণের কাঠামো এখনো গড়ে না ওঠেনি। এ কারণে ঋণ বিতরণে পিছিয়ে আছে এজেন্ট ব্যাংকিং। তারপরও সাম্প্রতিক সময়ে ঋণ বিতরণে হার বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তিন হাজার ৯৬২ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এক হাজার ৫০১ কোটি টাকা বেশি। ২০২১ সালের একই সময়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৬১ কোটি টাকা।
এজেন্ট ব্যাংকিং হলো প্রযুক্তি নির্ভর ছোট্ট পরিসরে ব্যাংকিং। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো এ লেনদেন করছে। যেসব অঞ্চলে অর্থনৈতিক গ্রোথ হচ্ছে কিন্তু ব্যাংকের শাখা নেই- মূলত এমন সেখানেই এই ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিকাশ হচ্ছে। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে অবকাঠামো নির্মোণে কোন খরচ করতে হয় না। কোন জনবলও নিয়োগ দিতে হয় না। বরং ব্যাংকের পক্ষে আমানত সংগ্রহের বিপরীতে এজেন্টরা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জামানাত রাখে। আর এ জন্য এজেন্টদেরও বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। দরকার হয় না বেশি জনবলেরও। প্রযুক্তি সেবার মাধ্যমে এজেন্ট ব্যাংকিং বিকশিত হচ্ছে। ফলে উত্তরোত্তর বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিং।