চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি ঠেকাতে চট্টগ্রামের মইজ্জারটেক এলাকায় অবস্থিত এস আলম এডিবল অয়েল মিলে অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় মিলে খোলা পাম-অয়েলের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও সয়াবিন তেলের বোতলজাতকরণ বন্ধ থাকার বিষয়টি দেখতে পান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
রোববার (১৩ মার্চ) দুপুরের দিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ নেতৃত্বে মিলটি পরিদর্শন করা হয়।
মো. ফয়েজ উল্যাহ বলেন, এস আলম অয়েল মিলে তাদের খোলা বা পাম অয়েল তেলের সাপ্লাই চলতে দেখেছি। কারখানা থেকে ট্রাকে করে তেল বাইরে নিয়ে যেতে দেখেছি। তবে এটি কোনো সমস্যা না।
তিনি বলেন, অভিযানে মিলটির রিফাইনারি সিস্টেমটি আমরা বন্ধ পেয়েছি। রিফাইনারির পর সয়াবিন বোতলজাত করার যে সেকশন সেটিও বন্ধ ছিল। কর্তৃপক্ষের কাছে বন্ধ রাখার কারণ জানতে চেয়েছি। কারখানা কর্তৃপক্ষ বলেছে, মেশিনারি সার্ভিসের জন্য গত দুই দিন ধরে এটি বন্ধ আছে। মেশিনারি সার্ভিস ঠিক হলে আবার বোতলজাত চালু হবে। আমরা তাদেরকে কাজটি দ্রুত করানোর জন্য বলেছি।
মেশিনটি অন্য কোনো কারণে বন্ধ রেখেছে কি না এ বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছি ও তদারকি করেছি। তাদেরকে সর্তক করে দিয়ে এসেছি। আজ অথবা কালকের মধ্যে যেন তারা মেশিনটি চালু করে সে বিষয়ে বলে এসেছি। তারা কথা দিয়েছে দ্রুত মেশিনটি চালু করবে, বলেন উপ-পরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ।
তিনি বলেন, এস আলমে পর্যাপ্ত পরিমাণে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত তেল মজুত আছে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে জানিয়েছে। পরিশোধিত সায়াবিন তেলও তাদের আছে। সরবরাহে কোনো সমস্যা নেই। পর্যাপ্ত তেল মজুত আছে।
উপ-পরিচালক বলেন, মিলটির ভেতরে পাঁচ লিটারের বোতলের গায়ে মূল্য লেখা ছিল ৮৩৫ টাকা। কিন্তু মূল্য ৮৩৫ টাকা হওয়ার কথা না। ৭৯৫ পর্যন্ত মূল্যটা যেতে পারে। এ বিষয়ে আমরা ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানিয়েছি। কারখানার লোকজন বলেছে, আগের হিসেবে মোড়কে দাম লেখা ছিল। অধিদপ্তর তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে। সব বিষয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে। বাজারে ন্যায্যমূল্যে তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখবে।