অনলাইন ডেস্ক: সারাবিশ্বের মত দেশের পোশাক শিল্পেও পড়েছে করোনার নেতিবাচক প্রভাব। বিপুলসংখ্যক ক্রয়াদেশ স্থগিত করেছে বিদেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। আবার করোনা রোধে বন্ধ করতে হয়েছে দেশের কারখানা।
জানা যায়, চলতি এপ্রিলের প্রথম ৭ দিনে ১২ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে।
অন্যদিকে গত বছরের এপ্রিলের প্রথম সাত দিনে রপ্তানি হয়েছিল ৫৮ কোটি ১৯ লাখ ডলারের ডলারের পোশাক। হিসাব অনুযায়ী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ৭৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ পোশাক রপ্তানি কমেছে।
আবার গত বছর মার্চের চেয়ে এই বছর মার্চে পোশাক রপ্তানি কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, চলতি এপ্রিলে সব মিলিয়ে ৭৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হতে পারে। সেটি হলে গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে রপ্তানি কম হবে প্রায় ৭০ শতাংশ।
বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা আশঙ্কা করছি, গত বছরের মার্চ-মে মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে অর্থাৎ মার্চ থেকে মে পর্যন্ত তিন মাসে ৪৯০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি কম হবে।’
মহামারি করোনাভাইরাস ইতমধ্যে বিশ্বের ২০০ টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা সংক্রমন রোধে বিশ্বের অনেক দেশেই চলছে লকডাউন।বন্ধ রয়েছে দোকানপাট।
জানা যায়, গতকাল রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত ১ হাজার ১৩৪ কারখানার ৯৭ কোটি ৫২ লাখ পিছ পোশাকের ক্রয়াদেশ স্থগিত ও বাতিল হয়েছে। তাতে ৩১৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা করছে বিজিএমইএ ।
এদিকে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের সুবিধার্থে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পোশাকশিল্পের মালিকেরা সেই তহবিল থেকে এপ্রিল, মে ও জুন মাসের মজুরি পরিশোধে ঋণ নিতে পারবেন। সে জন্য মাত্র ২ শতাংশ মাশুল দিতে হবে।