অনলাইন ডেস্ক: নতুন অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার এই বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ আগের চেয়ে তেমন না বাড়লেও কৃষিখাতকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা সাজানোর কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “এবারের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কৃষি হচ্ছে আমাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত খাত।”
মূলত করোনা মহামারিতে কৃষিখাতের লোকসান, কৃষকদের হতাশ সহ বিশ্বে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে এই পরিকল্পনা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই যেন খাদ্য সঙ্কট না হয়। সেজন্য এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখা যাবে না।”
ভবিষ্যতের সঙ্কট এড়াতে নিশ্চিতে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ও খাদ্য নিরাপত্তা খাতে ২২ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন তিনি।
নতুন বাজেটে কৃষিতে সর্বমোট ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী, যা মোট প্রস্তাবিত মূল বাজেটের ৫.২৮ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে কৃষিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ২৩ কোটি টাকা, যা চলতি বছরের সংশোধিত মূল বাজেটের ৫.৩৯ শতাংশ। সুতারাং নতুন বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দের হার কমেছে।
অধিক খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ও বীজে প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসনে জোর দেওয়া এবং সারের ওপর ভর্তুকি অব্যাহত রাখার কথা বলেন তিনি।
মাছ-মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা গেলেও এখনও গভীর সমুদ্রের মাছ নিজের ঘরে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। এবারের বাজেটে গভীর সমুদ্রের মাছ আহরণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।