ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) জানিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে চিনি আমদানির জন্য সব প্রক্রিয়া শেষ করার পরও সরকার থেকে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত না করায় চিনি আমদানি সম্ভব হয়নি। বর্তমানেও চিনি আমদানি করার মতো আর্থিক সংস্থান নেই সংস্থাটির।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১০ম বৈঠকে এ তথ্য জানায় বিএসএফআইসি।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, এর আগে সংসদীয় কমিটি পিক মৌসুমে বা রজমানের সময় চিনির অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে করমুক্ত চিনি আমদানির সুপারিশ করে।
সেই সুপারিশের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপন করা হয়।
সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) বর্তমানে চিনি আমদানি করার মতো আর্থিক সংস্থান নেই। বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার দর অনুযায়ী ট্যাক্স, ভ্যাট, কাস্টম ডিউটিসহ প্রতি কেজি চিনির সম্ভাব্য আমদানি মূল্য ৯২.৮০ টাকা। কিন্তু বিএসএফআইসির চিনির বর্তমান বিক্রয়মূল্য প্রতি কেজি ৭৪ টাকা। শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধা ছাড়া চিনি আমদানি করা সম্ভবপর হয়ে উঠবে না। উল্লেখ্য যে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে চিনি আমদানির জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সত্বেও সরকার থেকে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত না করায় চিনি আমদানি করা সম্ভবপর হয়নি। ফলে চিনি আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরকার হতে সংস্থান ছাড়া এবং করমুক্ত আমদানির সুযোগ প্রদান ছাড়া বিএসএফআইসির পক্ষে চিনি আমদানি কঠিন হবে।
বৈঠকে আরও উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে সংগৃহীত তথ্য মতে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আমদানি করা চিনির পরিমাণ ১১ লাখ ৬৪ হাজার ২৬৭ মেট্রিক টন। গত বছরের একই সময়ে আমদানি করা চিনির পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৯২ মেট্রিক টন। এতে দেখা যায়, গত বছেরর তুলনায় এ বছর এরই মধ্যে ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৫ মেট্রিক টন চিনি আমদানি বেশি। আর বিএসএফআইসির বর্তমান চিনির মজুত ১৬৪৭১.৮০ মেট্রিক টন ।