ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ফের টানা দরপতনে দেশের শেয়ারবাজার। সেই সঙ্গে কমছে লেনদেনের গতি। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।
এমন টানা দরপতনের সঙ্গে উভয় বাজারে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন কমে সাড়ে চারশ কোটি টাকার নিচে চলে এসেছে। এতে বাজারটিতে নয় কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেনের ঘটনা ঘটলো।
সূচক ও লেনদেন কমার পাশাপাশি ডিএসইতে গত কয়েক কার্যদিবসের মতো তালিকাভুক্ত অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান ক্রেতা সংকটে পড়ে। ক্রেতা সংকটে পড়ে নতুন করে আরও ১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) চলে এসেছে। এতে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকে।
অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান ক্রেতা সংকটে পড়ার দিনে ডিএসইতে মাত্র ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৮টির এবং ১৮৩টির দাম অপরিবর্তিত। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। বিপরীতে ১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ কমেছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৪২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৬৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ২৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। লেনদেন শুধু আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেনি, গত ৩০ মার্চের পর বাজারটিতে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।
এ লেনদেন খরার বাজারে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে আমরা নেটওয়ার্কের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ২৯ কোটি ২৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিং, জেমিনি সি ফুড, জেনেক্স ইনফোসিস, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, এডিএন টেলিকম, বিচ হ্যাচারি এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৬টির এবং ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।