ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বিদায়ী বছর ২০২২ সালের শেষ মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। গত ডিসেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। এর আগে গত নভেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।
সোমবার (২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া ডিসেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমনটা বলা হয়েছে।
বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খাদ্য খাতে একই সময়ে মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ, নভেম্বর মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। এছাড়া ডিসেম্বর মাসে খাদ্য বহির্ভূত খাতেও মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ হয়েছে, গত মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
বিবিএস তার পরিসংখ্যানে বলছে, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাক জাতীয় পণ্যের দাম কমায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। পাশাপাশি কমেছে বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থলী, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দামও।
বিবিএস বলছে, ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি হয়েছে। এসময় গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর শহরে হয়েছে ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। দেখা গেছে, যেসব খাদ্যপণ্য গ্রামে উৎপাদন হয় তার দাম গ্রামেই বেশি, শহরে কম।
সামগ্রিক অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব পড়েছে দিনমজুর ও শ্রমিকদের মজুরিতে। মজুরি কিছুটা বাড়লে কেনাকাটায় স্বস্তি মেলে। গত ডিসেম্বর মাসে বিভিন্ন খাতের শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, যা আগের দুই মাস অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের থেকে বেশি। অক্টোবরে মজুরি সূচক ছিল ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং নভেম্বর মাসে ছিল ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
বিবিএস প্রতি মাসে কৃষি শ্রমিক, পরিবহন কর্মী, বিড়ি শ্রমিক, জেলে, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিকসহ ৪৪ ধরনের শ্রমিকের মজুরির তথ্য সংগ্রহ করে মজুরি হার সূচক তৈরি করে। এর মধ্যে শিল্প খাতের ২২ ধরনের এবং কৃষি ও সেবা খাতের প্রতিটিতে ১১ ধরনের পেশা অন্তর্ভুক্ত। এসব পেশাজীবীর মজুরি এবং দক্ষতা কম এবং দৈনিক ভিত্তিতে তারা মজুরি পান। এর ভিত্তিতে কোনো মাসে মজুরি সূচক কত দাঁড়াল, তা প্রকাশ করে বিবিএস। করোনায় এসব শ্রমিকই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বেতনভোগী কিংবা উচ্চ আয়ের পেশাজীবীদের বিবিএস মজুরি সূচকে অন্তর্ভুক্ত করে না।