অনলাইন ডেস্ক: করোনার অর্থনৈতিক ক্ষতি পোষাতে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপ জরুরি এবং সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট বাবদ চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৪ হাজার ১০০ কোটি থেকে ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বেশি রাজস্ব আয় সম্ভব। গতকাল তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তারা এ দাবি জানান।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক এবং সঞ্চালনা করেন দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।
এনবিআর প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থে তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের কথা বলা হয়েছে। ফলে সিগারেটেও সুনির্দিষ্ট করারোপে কোনো অসঙ্গতি বা জটিলতা নেই বলে জানান বক্তারা।
বক্তারা আরো জানান, দেশকে তামাক মুক্ত করার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, সে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয় যদি তামাক সেবনের বর্তমান পরিস্থিতি বহাল থাকে।। ফলে আসন্ন বাজেটেই সব ধরনের তামাক পণ্যে বহু স্তরভিত্তিক কর পদ্ধতি বাদ দিয়ে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।
তামাক কোম্পানি আয়কর বাবদ যা পরিশোধ করে তা কর বাবদ মোট আদায়কৃত করের ৩ শতাংশ মাত্র। বিগত অর্থ বছরে তামাক কোম্পানির কাছ থেকে কর বাবদ আদায় করা হয় মোট ২২ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। যার মধ্যে আয়কর মাত্র ৮১৬ কোটি টাকা, যা তামাক কোম্পানি পরিশোধ করেছে। বাকি ২১ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা জনগণ পরিশাধ করেছে বলেও দাবি করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী। বক্তব্য রাখেন নীলফামারী-৩ আসনের এমপি রানা মোহাম্মদ সোহেল, বগুড়া-৩ আসনের এমপি মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, সংরক্ষিত আসনের এমপি অধ্যাপক মাসুদা এম. রশীদ চৌধুরী ও নাজমা আকতার।