ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী আয়কর রিটার্ন ও তথ্যসেবা। তৃতীয় দিনের মতো রিটার্ন জমা দিতে কর অঞ্চলগুলোতে ভিড় করছেন করদাতারা।
বুধবার (০৩ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কর অঞ্চল ১১ তে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। তবে কেউ কেউ আসছেন নতুন করদাতা হিসেবে নিজের নাম অন্তর্ভুক্তি করতে নানা তথ্য জানতে।
দেখা গেছে, সকাল থেকে কর কর্মকর্তারা করদাতাদের ই-টিআইএন নিবন্ধন, রিটার্ন গ্রহণ, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দেওয়া, আয়কর রিটার্ন ফরম, চালান ও সিটিজেন চার্টার সরবরাহ, আয়কর সম্পর্কিত পরামর্শ ও তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
মিরপুর থেকে রিটার্ন সম্পর্কে জানতে এসেছেন ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, অনেক বিষয় অজানা ছিল খোঁজ খবর নিলাম। আজ দুটি ফরম নিয়ে যাব আগামী দুই চার দিনের মধ্যে জমা দেব। উপার্জন যাই আছে সেটা স্বচ্ছতার মাধ্যমে করতে চাই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাবার রিটার্ন দিতে এসেছেন একজন। তিনি বলেন, আগে আগেই রিটার্ন জমা দেই। শেষ দিকে অনেক ভিড় হয়। ভিড় এড়াতেই আগে দেওয়া বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে কর অঞ্চল ১১ কর কমিশনার স্বপন কুমার রায় বলেন, এটা ইনকাম ট্যাক্স দেওয়ার বিষয়ে মানুষের আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। অনলাইনেও রিটার্ন দিচ্ছে। তুলনামূলক করদাতাদের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও ১৫ নভেম্বর পর এটা বেড়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, দুই দিনে ৪৮৭ জন এখানে আয়কর দিয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এটি চলমান রয়েছে। তবে শেষ দিন আমরা অনেক রাত পর্যন্তও আয়কর নিয়ে থাকি। এছাড়া কোভিড থেকে করদাতাদের সুরক্ষা রাখতে আমরা সচেতনতামূলক সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে কোভিড পরিস্থিতিতে মেলা আয়োজনের পরিবর্তে কর কমিশনার অঞ্চলগুলোতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে মাসব্যাপী সোমবার (১ নভেম্বর) থেকে আয়কর রিটার্ন গ্রহণের জন্য করদাতাদের সেবাদান করা হচ্ছে।
দেশব্যাপী ৩১টি কর অঞ্চলের ৬৪৯টি সার্কেলে ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অফিস চলাকালীন নিরবচ্ছিন্নভাবে আয়কর রিটার্ন গ্রহণ করা হবে।