দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি:
সিএনজিচালক কর্তৃক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের এক নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে দিনাজপুর থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা।
বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে মির্জাপুর বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে আড়াআড়িভাবে বাস ও ট্রাক রেখে অবরোধ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
এই অবরোধের ফলে সড়কের দুপাশের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যাতে ছোট যানবাহনগুলোও আটকা পড়েছে। হঠাৎ করে এমন কর্মসূচির ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বের হলেও বাস চলাচল না করায় যাত্রীদের ফিরে যেতে হয়েছে। কেউবা খুঁজছেন বিকল্প যান।
শ্রমিকদের অভিযোগ, বুধবার বিকালে দিনাজপুর শহরের বালুয়াডাঙ্গা বাসস্টান্ডে এক যাত্রীকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে বাসে উঠিয়ে নেন এক বাস হেলপার। এ সময় অটোরিকশার চালকরা সেই হেলপারকে মারধর করেন। ঘটনাটি সমাধানের জন্য বাসস্ট্যান্ড শাখা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করেন অটোরিকশা চালকরা। এক পর্যায়ে ডাবলুর মাথায় আঘাত করা হয়।
বাসচালক মিষ্টু মিয়া বলেন, ‘প্রতিনিয়ত অটোরিকশা চালকরা খারাপ ব্যবহার করেন। তাদের এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনার বিচার হওয়া খুব প্রয়োজন।’
বাসচালক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সহকর্মী ও নেতাকে মারধর করায় আমরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি। দিনাজপুরের সব স্থানেই এমন কর্মসূচি চলছে।’
এদিকে হঠাৎ ধর্মঘটের ফলে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। ঠাকুরগাঁও যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়া যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জরুরি কাজে দিনাজপুর এসেছিলাম। কাজ শেষ করতে করতে রাত হয়ে গেছে, তাই হোটেলে ছিলাম। সকালে বের হয়েছি বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু এখন দেখি বাস চলাচল বন্ধ। বাড়িতেও কাজ আছে, এখন মহা সমস্যায় পড়েছি।’
যাত্রী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রংপুরে যাবো। বিকল্প ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। সব আন্দোলনে আমাদের জিম্মি করা হয়।’
দিনাজপুর মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাকিম বলেন, ‘আমাদের এক শ্রমিক নেতাকে অন্যায়ভাবে মারধর করার প্রতিবাদে গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা। এই ঘটনার জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি আমাদের।’
কোতয়ালি থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ‘শ্রমিকরা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এরপরও কেন আন্দোলন, সে বিষয়ে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করা হচ্ছে।’