সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হলেও শেষ পর্যন্ত ধস দিয়ে শেষ হয়েছে। এর আগে টানা সাত কার্যদিবস পতনের পর গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও রোববার ধস নামায় আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে এক পর্যায়ে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ৬২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। ফলে সপ্তাহের শুরুতেই সূচকে বড় উত্থানের স্বপ্ন দেখতে থাকেন বিনিয়োগকারীরা।
তবে বিনিয়োগকারীদের বড় উত্থানের আশা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সকাল সাড়ে ১১টার পর লেনদেনে অংশ নেওয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দর পতন হতে থাকে। ফলে বড় উত্থান দেখতে দেখতে শেয়ারবাজার ধসে রূপ নেয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসই-এক্স আগের দিনের তুলনায় ৭০ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৫ পয়েন্টে নেমে গেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ৩০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯২টির। আর ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৬৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৩১০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১৫৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৪২ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার। ৭৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- এনআরবিসি ব্যাংক, জিনেক্স ইনফোসিস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, আইএফআইসি ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১২২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৫টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।