টানা বড় দরপতনের সঙ্গে লেনদেন খরা দেখা দিয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। সবকটি মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসইর পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এরপরও লেনদেন শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ছয় পয়েন্ট কমে যায়। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু এরপরই হুড়মুড় করে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে দেখতে দেখতে বড় দরপতনের মধ্যে পড়ে যায় শেয়ারবাজার। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৬ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৮৯৮ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর ফলে টানা দুদিনের পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ১০০ পয়েন্ট কমে গেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সাত পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৫৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪৬টির। আর ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।