ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
বাংলাদেশ বিমানের ‘আকাশতরী’ ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ মডেলের বিমানের পাইলট ভুল করে কোনো কারণ ছাড়াই বিমানের পাওয়ার লিভার ব্যবহার করায় প্রায় ১০০ কোট টাকার ক্ষাতি হয়েছে। পাশপাশি এ কারণে বিমানটি প্রায় তিন মাস বসিয়ে রাখতে হবে মেরামতের কারছে। ফলে যাত্রীরা সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন।
এমনকি ল্যান্ডিংয়ের পর ঘটনাটি দ্রুত লগবইতে লিখিতভাবে জানানোর কথা থাকলেও ক্যাপ্টেন রুবায়েত তা করেননি। এ অবস্থায় পরবর্তী ফ্লাইটের উড্ডয়নেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার শঙ্কা ছিল। কিন্তু রক্ষা হয় ইঞ্জিনিয়ার শাখার নিয়মিত চেকিংয়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার)। সেদিন সিলেট থেকে ঢাকা আসার পথে পাইলট কোনো কারণ ছাড়াই ১০০ ভাগের বেশি ইমার্জেন্সি পাওয়ার ব্যবহার করেছেন। সামনের মনিটরে বিপদ সংকেত জ্বলে ওঠার পর তড়িঘড়ি করে স্বাভাবিক পজিশনে নিয়ে আসা হয় পাওয়ার লিভারটি। ততক্ষণে পেরিয়ে যায় ১৩ সেকেন্ড। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর কিছুক্ষণ থাকলেই উড্ডয়নরত অবস্থাতেই বিমানে আগুন ধরতে পারতো। এমনকি ঝুঁকি ছিল বিস্ফোরণেরও।
পাইলটের এই ভুলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। জ্বলে গেছে বিমানের ইঞ্জিনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফলে মেরামত না করা পর্যন্ত আগামী দুই থেকে তিন মাস বসিয়ে রাখতে হবে বিমানটি। ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ মেরামতসহ সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।
বিমান দুর্ঘটনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন (অব.) সালাহ উদ্দিন এম রহমতুল্লাহ বলেন, পাইলটের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত ছিল। কিন্তু এটি পাইলটদের অভ্যাস তারা লগবুকে তথ্য লিপিবদ্ধ করেন না। অথচ লগবুকে এসব তথ্য লিখে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য নিয়মও আছে।
প্রসঙ্গত, ড্যাশ-৮ কিউ ৪০০ মডেলের ৭৪ আসনের নতুন বিমানটি গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আনা হয়। এ ঘটনায় গাফিলতি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ।