ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: পুঁজিবাজারে ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) বিনিয়োগে নজরদারি জোরদার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতদিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ‘পুঁজিবাজার বিনিয়োগ’-এ কোন কোন উপাদান গণ্য হবে তা নির্ধারণ করা ছিল না। মোট পরিশোধিত মূলধন ও রিজার্ভের ২৫ শতাংশ (অনুমোদন সাপেক্ষে ৫০ শতাংশ) বিনিয়োগ করতে পারে। তবে এখন এই বিনিয়োগের কোনগুলো গণ্য হবে আর কী হবে না তা স্পষ্টীকরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বিনিয়োগের কোন কোন উপাদান আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ‘পুঁজিবাজার বিনিয়োগ’ হিসেবে গণ্য হবে তা স্পষ্ট করার প্রয়োজনীয়তার নিরিখে এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) নিজস্ব সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে দেওয়া ইক্যুয়িটি, দীর্ঘমেয়াদি ইক্যুয়িটি বিনিয়োগ বা ভেঞ্চার ক্যাপিটালকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে না। এর ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা আরও বাড়বে।
এনবিএফআইগুলো যদি সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি (বিডি) লিমিটেড ও স্টক এক্সেঞ্জগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগ করে তাহলে তা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে না। তবে এনবিএফআইর ধারণ করা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সকল প্রকার শেয়ার, ডিবেঞ্চার, করপোরেট বন্ড, মিউচুয়্যাল ফান্ড ইউনিট এবং পুঁজিবাজারের অন্যান্য নিদর্শন চক্রের বাজারমূল্য পুঁজিবাজারের মোট বিনিয়োগ হিসাবায়নের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত হবে।
সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী, পুঁজিবাজার কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত নিজস্ব সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বা সহযোগী কোম্পানিগুলোকে প্রদত্ত ঋণের স্থিতি পুঁজিবাজার বিনিয়োগের অন্তর্ভুক্ত হবে।
এছাড়া পুঁজিবাজার কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত অপর কোনো কোম্পানি বা কোনো স্টক ডিলারকে দেওয়া ঋণের স্থিতি এবং তাদের সঙ্গে রক্ষিত তহবিলের স্থিতি প্লেসমেন্ট বা অন্য যেকোনো নামেই অভিহিত হোক না কেন তা পুঁজিবাজার বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হবে।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশে গঠিত কোনো তহবিলে প্রদত্ত চাঁদাও পুঁজিবাজার বিনিয়োগের অন্তর্ভুক্ত হবে।
এই নির্দেশনা এখন থেকেই কার্যকর করতে বলা হয়েছে। এনবিএফআইগুলোকে তাদের পুঁজিবাজার বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিবরণী তিন মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে বলা হয়েছে। এজন্য একটি ছকও দিয়ে দেওয়া হয়েছে নমুনা হিসেবে।
এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩-এর ১৮(ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা কেন্দ্রীয় ব্যাংক জারি করেছে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।