ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম (বাজেট) অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা বাজেটের ১৬.৭৫ শতাংশ এবং জিডিপির ২.৫৫ শতাংশ বলে জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই খাতের আওতায় প্রতিবন্ধীদের ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের পরিকল্পিত নীতিকৌশল বাস্তবায়নের ফলস্বরূপ কোভিড-১৯ অতিমারির পূর্বে দেশে দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ১০.৫ শতাংশে নেমে আসে। যদিও অতিমারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় আমাদের অগ্রগতি কিছুটা হোঁচট খেয়েছিল, কিন্তু সরকারের দ্রুত সাহসী পদক্ষেপে অল্পদিনেই বাংলাদেশ আবার উন্নয়নের গতিধারায় ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২০ লাখ ৮ হাজার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে মাসিক ৭৫০/- টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হয়েছে। উপকারভোগীর সংখ্যা আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৩.৫৭ লাখ বৃদ্ধি করে ২০.৮ লাখের স্থলে ২৩.৬৫ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ সময় মাসিক ভাতার হার ৭৫০/- টাকা থেকে ১০০/- টাকা বৃদ্ধি করে ৮৫০/- টাকা করা হবে।
প্রসঙ্গত, এটি দেশের ৫১তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট।
এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। গতবছর অর্থমন্ত্রী চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছিলেন। তবে সংশোধিত হয়ে এই বাজেটের আকার কমে দাঁড়ায় ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।