।। অর্থনীতি ডেস্ক ।।
দুগ্ধ ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে এই ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ২০০ কোটি টাকা। ডিম, মাংস এবং দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ ঋণ ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত দ্রুত বিকাশমান। দেশে ডিম, মাংস ও দুধের যে চাহিদা স্রবরাহ সেই তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। দেশীয় উদ্যোক্তারা নতুন নতুন খামার গড়ে তুলছেন। কিন্তু এখানে রাষ্ট্রের সহায়তা প্রয়োজন। এই ঋণ উদ্যোক্তাদের এগিয়ে দিতে ভূমিকা রাখবে বলে অনেকের আশাবাদ।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে ঋণ নেয়ার বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি। বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় ঋণ অনুমোদন দেয়ার খবর জানা গেছে সংস্থাটির দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে। বিশ্বব্যাংকের এ ঋণ ৫ বছরের রেয়াতকালে, ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, দুগ্ধ ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কৃষি খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়বে। একই সঙ্গে ২০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি পারিবারিক খামারির বাজার সুবিধা তৈরি হবে। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বলেন, এ ধরণের উদ্যোগ বাংলাদেশের বার্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া গ্রামের নারী এবং যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
বাংলাদেশের মোট কর্মস্থানের ১৪ শতাংশ নিয়োজিত রয়েছে প্রাণিসম্পদ খাতে। যদিও গ্রামের ৭০ শতাংশ পরিবার গাবাদিপশু পালন করে। বর্তমানে কৃষি শ্রমশক্তির ৬৮ শতাংশ নারী মূলত প্রাণিসম্পদ ও পোল্ট্রি খাতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের দুগ্ধ ও প্রাণিসম্পদ প্রকল্পের মিশন প্রধান মানিইভেল সিনে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এ খাতের উৎপাদন ঝুঁকির মধ্যে আছে। ঝুঁকি কমাতে পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি বীমা সুবিধা চালু করা গেলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিরা উপকৃত হবে। এছাড়াও প্রকল্পটির মাধ্যমে খামারের উৎপাদন বাড়ানোও সম্পদ হবে।
।