ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ফেব্রুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৭৮ শতাংশে, যা জানুয়ারি মাসে ছিল ৮.৫৭ শতাংশ।
রোববার (১২ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, খাদ্য খাতে ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮.১৩ শতাংশ, যা জানুয়ারি মাসে ছিল ৭.৭৬ শতাংশ। এছাড়াও, ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৮২ শতাংশ, যা জানুয়ারি মাসে ছিল ৯.৮৪ শতাংশ। উৎপাদন খরচ বাড়ায় মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতির যেই বাজার আছে, সেখানে চাহিদা বৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ তাড়িত মূল্যস্ফীতির কারণেই ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা বেড়েছে। এখন উৎপাদন খরচ বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। আগে যেই ফিড কেনা হতো ২৮ টাকায়, এখন সেটা কেনা হচ্ছে ৭০ টাকায়। কৃষি খাতের জিনিসপত্রের দাম সেভাবে না বাড়লেও পোল্ট্রি ও মাছের ফিডের দাম বেড়েছে। এটা নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগবে। এসব জিনিসের দাম একবার বেড়ে গেলে কমতে সময় লাগে। বছরখানেকও লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
বিবিএস প্রতি মাসে কৃষি শ্রমিক, পরিবহন কর্মী, বিড়ি শ্রমিক, জেলে, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিকসহ ৪৪ ধরনের শ্রমিকের মজুরির তথ্য সংগ্রহ করে মজুরি হার সূচক তৈরি করে। এর মধ্যে শিল্প খাতের ২২ ধরনের এবং কৃষি ও সেবা খাতের প্রতিটিতে ১১ ধরনের পেশা অন্তর্ভুক্ত। এসব পেশাজীবীর মজুরি এবং দক্ষতা কম এবং দৈনিক ভিত্তিতে তারা মজুরি পান। এর ভিত্তিতে কোন মাসে মজুরি সূচক কত দাঁড়াল তা প্রকাশ করে বিবিএস।