ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: জামালপুরের তারাকান্দিতে দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানার উৎপাদন আবারও বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার রাতে সার কারখানার অ্যামোনিয়া পাম্পে লিকেজ দেখা দেওয়ায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে গত ৭৬ দিনে তিন বার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হলো।
স্থানীয় ও কারখানা সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ভারতীয় বিশেষজ্ঞ তানাজি এস. পন্দেকারের নেতৃত্বে একটি দল কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের এনজি বুস্টার কমপ্রেসার পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনের সময় তিনি এনজি বুস্টারের একটি ভুল বাটনে চাপ দেন। এতে বিকট শব্দে অ্যামোনিয়া প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে কারখানায় ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। কয়েকদিন চেষ্টা চালিয়ে ইউরিয়া উৎপাদনে গেলেও ফের ০৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কারখানার রিফরমার টিউবে লিকেজ দেখা দেওয়ায় ফের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে প্রয়োজন অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় গত বছরের ২১ জুন যমুনার সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গ্যাস সরবরাহ করা হলে ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে উৎপাদনে ফেরে কারখানাটি।
যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) সাইদুর রহমান বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাম্পের লিকেজ মেরামতের কাজ চলছে। মেরামত করতে আরও দুই-একদিন সময় লাগতে পারে।
১৯৯১ সালে জামালপুরের তারাকান্দিতে কারখানাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে যমুনা সার কারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল এক হাজার ৭০০ টন। গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় পরে তা এক হাজার ৩০০ টনে নেমে আসে। সার কারখানা থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ীসহ উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার প্রায় আড়াই হাজার ডিলার সার উত্তোলন করেন।