ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের রিসাইক্লিং বা পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে বিনিয়োগসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকতর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠকে এ আগ্রহ দেখান তিনি।
লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত শুক্রবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার যুক্তরাজ্য। দেশটি চাইলে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাময় রিসাইক্লিং শিল্পে বিনিয়োগ ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে শ্রমঘন ও পরিবেশ রক্ষায় সহায়তাকারী এ শিল্পে ইতোমধ্যেই নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বড় ক্রেতাদের কাছেও পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করে পাওয়া ফাইবার থেকে প্রস্তুতকৃত পোশাকের চাহিদা ক্রমে বাড়ছে। পরিবেশবান্ধব ও সার্কুলার ইকোনমির জন্য সহায়ক হওয়ায় এ চাহিদা আরও বাড়বে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা থেকে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় জমি দিতে পারছে না। এ অবস্থায় পানিতে ভাসমান প্রযুক্তির মাধ্যমে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে যুক্তরাজ্য বিনিয়োগ করতে পারে। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক অন্যান্য শিল্পেও যুক্তরাজ্য বিনিয়োগ করতে পারে বলে মত দেন তিনি। সালমান এফ রহমান যুক্তরাজ্যের জন্য বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন বা বিদ্যমান কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে বলে লর্ড ডমিনিক জনসনকে জানান।
লর্ড ডমিনিক জনসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প-বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও বহুমাত্রিক ও সম্প্রসারিত করার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে ৮ ডিসেম্বর সালমান এফ রহমান বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের ট্রেড এনভয় ব্রিটিশ সংসদ সদস্য রুশনারা আলীর সঙ্গে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বৈঠক করেন।