ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: এক টাকা বাড়িয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিক্রি করা ডলার কিনতে এখন ১০০ টাকা গুনতে হবে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল উল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এটা একটি রুটিন ওয়ার্ক। বাজার সংগতিপূর্ণ করতে মাঝে মাঝে ডলারের দাম বাড়ানো হয়।
গত ডিসেম্বর মাসে ডলারের দাম বাড়িয়ে ৯৯ টাকা করা হয়।
সরকারের জ্বালানি, খাদ্য, সার, কীটনাশক আমদানি করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে থেকে ডলার কেনা হয়। সে জন্য এ ডলারের ক্রেতা মূলত সরকার। এর বাইরে খাদ্যের মতো জরুরি কিছু পণ্য আমদানিতেও বেসরকারি ব্যাংক এ ডলার সংগ্রহ করে থাকে। রিজার্ভ থেকে এ ডলার বিক্রি হয়। বর্তমানে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৪ বিলিয়ন ডলার। তবে ব্যবহার উপযোগী ডলার আরও আট বিলিয়ন কম।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। বেড়ে যায় আমদানি ব্যয়। ঘাটতি পড়ে ডলারের। এ পরিস্থিতিতে ডলার বিক্রি করে সংকট উত্তরণে উদ্যোগ নেয়। তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এতে ডলারের দাম বেড়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ধাপে ধাপে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত বছরের এপ্রিলে ডলারের দাম ছিল ৮৬ টাকা। বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ধাপে ধাপে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি করে। গত ডিসেম্বর মাসে ডলারের দাম বাড়িয়ে ৯৯ টাকা করা হয়। এক মাস পর আরও এক টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হলো। এর ফলে গত বছরের এপ্রিল থেকে নয় মাসে ডলারের দাম বাড়লো ১৬ শতাংশ।
এর আগে গত রোববার ০১ জানুয়ারি রপ্তানি আয়ের ডলারে এক টাকা বৃদ্ধি করে ১০২ টাকা করে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)।
এবিবি ও বাফেদার সিদ্ধান্তের পর রপ্তানি আয়ের ডলারের দাম দাঁড়ায় ১০২ টাকা। আর প্রবাসী আয়ের ডলারের দাম নির্ধারিত আছে ১০৭ টাকা।