ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দেশের হতদরিদ্র মানুষের কাছে বিক্রি করা ১০ টাকা কেজি চালের দাম বেড়ে ১৫ টাকা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে।
এর আগে খাদ্য অধিদপ্তরের এই কর্মসূচির চালের বিক্রয় মূল্য পুনর্নির্ধারণ করে গত ২২ জুন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে চালের নতুন মূল্য কার্যকর করতে নির্দেশ দিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে হতদরিদ্রদের জন্য সরকার নির্ধারিত মূল্যে কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিতরণ নীতিমালা, ২০১৬’ অনুযায়ী ‘খাদ্যবান্ধব’ কার্যক্রমের আওতায় দরিদ্র জনসংখ্যার মধ্য থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচিত সর্বোচ্চ ৫০ লাখ পরিবারকে কর্মাভাবকালীন (সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল) পাঁচ মাস প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল বিক্রির ক্ষেত্রে চালের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হলো।
এতে বলা হয়েছে, সমতল ও দুর্গম এলাকার জন্য ভোক্তা পর্যায়ে (প্রতিটি নির্বাচিত পরিবারের কাছে) চালের খুচরা বিক্রয় মূল্য প্রতি কেজি ১৫ টাকা এবং এক্স-গোডাউন মূল্য (ডিলারের কাছে বিক্রয় মূল্য) সমতল এলাকার জন্য প্রতি কেজি ১৩ টাকা ৫০ পয়সা এবং দুর্গম এলাকার জন্য প্রতি কেজি ১৩ টাকা। পুনর্নির্ধারিত মূল্য ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
গত ০৯ জুন জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের দাম ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা হচ্ছে।