ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বিশ্বে জ্বালানি তেল উৎপাদন ও রপ্তানিকারী দেশগুলোর অন্যতম নিয়ন্ত্রক জোট ওপেক প্লাস তেলের উৎপাদন কমানোর আকস্মিক ঘোষণা দেওয়ার পর নতুন করে মুদ্রাস্ফীতির উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে এবং কমেছে সোনার দাম।
ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণার পর সোমবার বিশ্ববাজারে স্পট গোল্ডের দাম শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স হয়েছে এক হাজার ৯৪৯ দশমিক ৫৪ ডলার। বিশ্ববাজারে সোনার এই দাম গত এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। একই দিনে মার্কিন গোল্ড ফিউচারের দাম শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ১ হাজার ৯৮২ দশমিক ০০ ডলার হয়েছে।
স্টোনএক্সের বিশ্লেষক রোনা ও’কনেল বলেছেন, ওপেক প্লাসের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক বাজারে এক ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তে একদিকে ডলারের দাম বেড়েছে, অন্যদিকে সোনার দাম কমিয়ে দিয়েছে।
বিশ্ববাজারের এমন পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদ হার বৃদ্ধি করতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যা বাজারে নতুন করে মূল্য নির্ধারণ করতে পারে।
অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে ইউরোপীয় শেয়ারের দামও বেড়েছে। তবে এতে লাভের পরিমাণ ছিল সীমিত। এছাড়া নতুন করে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কায় মার্কিন ও ইউরোপীয় বন্ডের পতন বেড়েছে।
যদিও ঐতিহ্যগতভাবে সোনাকে মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ক্রমবর্ধমান মূল্যে লাগাম টানতে উচ্চ সুদের হার সোনার চাহিদা ম্লান করে। কারণ এতে কোনও সুদ দিতে হয় না।
এদিকে, সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন ওপেক প্লাসের তেলের উত্তোলন হ্রাসের ঘোষণার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। অপরিশোধিত তেলের দুই ব্র্যান্ড ব্রেন্ট এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) উভয়েরই দাম বেড়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার প্রতি ব্যারেল (১৫৯ লিটার) ব্রেন্ট ক্রুড বিক্রি হয়েছে ৮৪ দশমিক ৪২ ডলারে। আগের দিন রোববারের তুলনায় এই মূল্য ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।
আর ডব্লিউটিআই ক্রুডের প্রতি ব্যারেল সোমবার বিক্রি হয়েছে ৮০ দশমিক ০১ ডলারে, যা আগের দিন রোববারের চেয়ে ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেশি।