ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: মাংস আমদানি নয়, দেশের চাহিদা মিটিয়ে একসময় বিদেশে রপ্তানি করা হবে। সে উদ্দেশ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও শের-ই-বাংলানগরে (পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠ) ‘দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী, ২০২২’ আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে বিপ্লব এসেছে। কোনো প্রাণী আর আমদানির প্রয়োজন হচ্ছে না। অবৈধভাবে যেনো প্রাণী আমদানি না করা হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এতে আমাদের দেশের মাংসের চাহিদা বা কোরবানিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
খামারিদের তিনি বলেন, আপনারা উন্নত জাতের প্রাণিসম্পদ আমদানি করুন। সরকার এ বিষয়ে সবধরনের সহায়তা দেবে। কিন্তু মূল কাজটা আপনাদের করতে হবে।
সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর’ থেকে বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প একদিনের এ ‘দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী, ২০২২’ আয়োজন করে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬১ টি জেলার ৪৯৯ টি উপজেলায় এ প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে শের-ই-বাংলানগরে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. ইয়ামিন চৌধুরী।
দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত এ প্রদর্শনীতে সবাই নিজের উপজেলা থেকে উন্নত জাতের, অধিক উৎপাদনশীল গবাদিপশুসহ বিভিন্ন প্রাণী নিয়ে (গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস, দুম্বা, কবুতর) অংশ নেয়। প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তি, ঔষধসামগ্রী, টিকা, প্রাণিজাত পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ সরঞ্জাম মোড়কসহ পণ্য বাজারজাতকরণ প্রযুক্তির স্টলও ছিল। ঢাকায় অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় প্রদর্শনীতে আলাদা ভ্যালু চেইনভিত্তিক ১১০টি স্টল স্থাপন করা হয়।