ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: নির্মাণশিল্পের অন্যতম অপরিহার্য উপকরণ রডের দাম ফের বাড়ছে। মাঝে কিছুদিন টনপ্রতি দু-তিন হাজার টাকা কম ছিল। এক সপ্তাহ ধরে আবার ঊর্ধ্বমুখী দাম। এক টন ভালো মানের রডের দাম ছাড়িয়েছে ৯৪ হাজার টাকা। তবে বেশি বেড়েছে সাধারণ মানের রডের দাম। এই মানের ৭৮-৭৯ হাজার টাকার রড বিক্রি হচ্ছে ৮৩-৮৪ হাজারে। একই সঙ্গে বেড়েছে লোহার অ্যাঙ্গেল, গ্রিল, রেলিংয়ের দামও।
রাজধানীর পুরান ঢাকার খুচরা বাজার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নির্মাণের অতিপ্রয়োজনীয় উপকরণ রডের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, এর আগে করোনার কারণে পণ্য আমদানিতে অসুবিধা ছিল, সেসময় দাম বেড়েছিল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর দাম বাড়লো। এখন এলসির অজুহাতে আবারও দাম বাড়ানো হলো। উৎপাদন পর্যায়ে দাম বাড়ায় খুচরায়ও দাম বেড়েছে।
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের তথ্য বলছে, দুই বছরের ব্যবধানে রডের (প্রতি টন) দাম বেড়েছে ৩০ হাজার টাকা। ২০২০ সালে এক টন রোড ছিল ৬৪ হাজার টাকা, ২০২১ সালে ৬ হাজার টাকা বেড়ে ৭০ হাজার টাকা হয়েছিল। সদ্যবিদায়ী ২০২২ সালে কয়েক ধাপে ২৪ হাজার টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ৯৪ হাজার টাকায় ঠেকে। পরে কিছুটা কমে ভালো মানের রডের দাম ৯২ হাজার টাকায় আসে। দাম বেড়ে যায় সিমেন্ট, বালু, পাথর, ইট, থাই অ্যালুমিনিয়াম, গ্রিল ও রেলিং, জেনারেল ইলেকট্রিফিকেশন, স্যানিটেশন, টাইলস ও লেবার খরচ।
এতে ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টের দাম প্রতি স্কয়ার ফুটে ৫৪১ টাকা ৩৮ পয়সা বেড়েছে। দুই হাজার ফুট কনস্ট্রাকশনের ক্ষেত্রে এর মধ্যে শুধু রডের দাম বাড়ার কারণে ফ্ল্যাটের প্রতি স্কয়ার ফুটে নির্মাণ খরচ বেড়েছে ১২০ টাকা। একইভাবে সিমেন্টের কারণে ৪৪ টাকা, বালুর কারণে ২৩ টাকা, ইটের কারণে ৪০ টাকা, পাথরের কারণে ৬৭ টাকা ৫০ পয়সা, থাই অ্যালুমিনিয়ামের কারণে ৩৫ টাকা ও শ্রমিক খরচের কারণে বেড়েছে ৭০ টাকা পর্যন্ত।