ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: আগে এলাকা ভেদে এক ঘন্টা করে লোডশেডিং করা হলেও এখন তিন থেকে চার ঘণ্টা বা তার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। এ কারণে বিক্রি বেড়েছে রিচার্জেবল ফ্যান, লাইটসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের। ফলে এসব পণ্যের দামও বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেট ঘুরে দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগের তুলনায় বেড়েছে রিচার্জেবল ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দাম। এ সুযোগে বিক্রেতারাও বাড়িয়েছেন এসব পণ্যের দাম।
গুলিস্তান এলাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটের এইচ এন ইলেকট্রনিক্সের মালিক গোলাম মাঈনুদ্দিন খান বলেন, ক্রেতা বেড়েছে আর কই। আমাদের কেনা বেশি, তাই বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে। আমরা তো আর লোকসান দিতে পারি না।
মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, গুণগতমান ও আকৃতি ভেদে রিচার্জেবল ফ্যান বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায়। রিচার্জেবল লাইট বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকা দরে। অন্যদিকে বিক্রি বেড়েছে আইপিএস, ইউপিএসেরও। তবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রিচার্জেবল ফ্যানের। সে কারণে দুই মাস আগেও যে ফ্যান বিক্রি হতো এক হাজার ৫০০ টাকায় সেটি এখন দুই থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাইট আগে যেখানে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। আইপিএস, ইউপিএস বিলাসবহুল পণ্য হওয়ায় খুব বেশি না বাড়লেও এসব পণ্যে গড়ে দুই থেকে তিন হাজার টাকা দাম বেড়েছে।
রাশেদুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রতিটা ইলেকট্রনিক্স আইটেমের দাম বেশি। অথচ এসব দোকানে প্রায় সবই স্টকের মাল। কাজেই আমদানি মূল্য বাড়ার কথা বলা হলেও সেটি আসলে সঠিক না।
আসমা বেগম নামে আরেকজন বলেন, বাসায় ছোট একটা বাচ্চা আছে। বিদ্যুৎ চলে গেলেই কান্নাকাটি করে। আলো দেখলে কাঁদে না। একটা লাইট কিনতে এসেছি। দাম বেশি চায়। একটা ফ্যানও কেনা দরকার।
শেফালি আর এস ইলেকট্রনিক্সের মালিক শারফুল আমিন বলেন, যখন স্বাভাবিক ছিল পরিস্থিতি, তখন লোকসানে পণ্য বিক্রি করেছি। এখন তো দাম বেড়েছে, কিছু করার নেই।
বিক্রি বেড়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বেড়েছে বিষয়টা তেমন না, যার দরকার সেই কিনছে মূলত।