ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ব্যাংকগুলোর আমদানি, রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ডলারের সর্বোচ্চ দাম কত হবে তা পুনর্নির্ধারণ করেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ১ নভেম্বর থেকে রেমিট্যান্সের বিপরীতে ডলার কেনার সর্বোচ্চ দর আরও ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৭ টাকা করা হয়েছে। আর বাণিজ্যিক রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বিল নগদায়নে দর ৫০ পয়সা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা। সোমবার (২৪ অক্টোবর) থেকে রপ্তানি বিল নগদায়নের নতুন দর কার্যকর হবে।
রোববার (২৩ অক্টোবর) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) শীর্ষ নেতারা এক সভায় নতুন এ সিদ্ধান্ত নেন। এতে ব্যাংক খাতের শীর্ষ নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ১ নভেম্বর থেকে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়সহ বিভিন্ন আয় আনতে প্রতি ডলারের জন্য সর্বোচ্চ দাম দিতে পারবে ১০৭ টাকা। যা এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর এক সভায় ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। আর রপ্তানি আয় নগদায়ন করতে হবে সর্বোচ্চ ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা দামে। যা আগে ছিল ৯৯ টাকা। রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন এ দর কার্যকর হবে সোমবার।
ফলে প্রতি ডলারের গড় খরচ পড়ছে ১০৩ টাকা ২৫ পয়সা। এর চেয়ে সর্বোচ্চ ১ টাকা বেশি অর্থাৎ ১০৪ টাকা ২৫ পয়সা দামে আমদানি ঋণপত্র নিষ্পত্তিতে ডলারের দাম ধরতে পারবে ব্যাংকগুলো।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর ব্যাংকারদের সভায় এক্সপোর্ট প্রসিডে ৯৯ টাকা ও রেমিট্যান্সের ডলার ১০৮ টাকায় কেনার সিদ্ধান্ত হয়।
সবশেষ ২০ অক্টোবর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য সর্বোচ্চ ১০২ টাকা ৬৯ পয়সা এবং সর্বনিম্নও ১০২ টাকা ৬৯ পয়সা।
তবে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি ডলার বিক্রি করছে ৯৬ টাকায়। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে। তবে খোলাবাজারে বা কার্ব মার্কেটে নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে ১০৯ থেকে ১১০ টাকা।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন হাজার ৫৯৮ কোটি (৩৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন) ডলার। প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুত এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে সাড়ে ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।