ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: নভেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৯ কোটি ডলার, যা টাকার অংকে ১৭ হাজার ৬৩ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে)। এটা তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর দুই মাসে প্রবাসী আয়ে কিছুটা ভাটার টান তৈরি হয়। জুলাই, অগাস্ট দুই মাস যথাক্রমে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ও ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার আসার পরই সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে প্রবাসী আয় কমে আসে। ওই দুই মাসে প্রবাসী আয় আসে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ও ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।
এরপর নভেম্বর মাসে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ডলার সংকটের মধ্যে কিছুটা স্বস্তিও দিল এ খবর।
তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। বেসরকারি খাতের এ ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ডলার। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৫৭ লাখ ডলার, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে নয় কোটি ৫৮ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে নয় কোটি ৯৪ লাখ ডলার এবং আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আট কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের নভেম্বরে সরকারি মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে তিন কোটি ২১ লাখ ডলার।
ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় উৎসাহিত করতে সরকার নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছে। ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জে অর্থ পাঠানোর ফি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগে থেকেই রেমিট্যান্সের ওপর আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) যৌথভাবে ব্যাংকগুলোকে রেমিট্যান্স কেনার জন্য দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। বর্তমানে ১০৭ টাকায় রেমিট্যান্স ও ১০০ টাকায় রপ্তানি বিলের মাধ্যমে আসা ডলার সংগ্রহ করছে ব্যাংক।
এসব উদ্যোগের ফল নভেম্বরে মিলেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করছেন, এ ধারা আগামীতেও চলমান থাকবে।