ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক কমেছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া দুই কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।
মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি দুই বাজারেই দাম কমার তালিকায় অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠান স্থান করে নিয়েছে। ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে তার সাতগুণের বেশি। দরপতনের মধ্যে লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে। তবে লেনদেন দুইশ কোটি টাকার ঘরেই রয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের ১০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৯ পয়েন্ট কমে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের পতন প্রবণতা। এতে লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৯ পয়েন্ট পড়ে যায়।
তবে লেনদেনের শেষ ২০ মিনিটে বড় মূলধনের কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ে। এতে বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা পায় শেয়ারবাজার। একই সঙ্গে দাম বাড়ার তুলনায় সাতগুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার পরও ডিএসই-৩০ সূচক কিছুটা বেড়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৬টির। আর ১৬০টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৬৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১৯৮ কোটি ৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৭১ কোটি ৫২ লাখ টাকা।