ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসই লেনদেন বেড়ে ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সেই সঙ্গে দাম কমার থেকে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। পাশাপাশি দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান স্থান করে নিয়েছে।
এদিকে ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও গত কয়েক কার্যদিবসের মতো তালিকাভুক্ত অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান ক্রেতা সংকটে পড়ে। ক্রেতা সংকটে পড়ে নতুন করে আরও দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) চলে এসেছে। এতে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকে।
অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান ক্রেতা সংকটে পড়ার দিনে ডিএসইতে ৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৮টির এবং ২০৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো ৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২১৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
প্রধান মূল্যসূচকের সঙ্গে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬১২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫২৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৮৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
বাজারটিতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ৪৪ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ৩৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩২ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমরা নেটওয়ার্ক।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, ইউনিক হোটেল, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, জেমিনি সি ফুড, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, এডিএন টেলিকম এবং বাংলাদেশ ল্যাম্প।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১২৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৯টির এবং ৫৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭ কোটি টাকা।