সিলেট জেলা প্রতিনিধি:
সিলেটে গত সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে সবজির দাম। তবে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে পাঁচ টাকা আর ডিমের ডজনে কমেছে ৪ টাকা। সয়াবিন তেল, চাল, ডাল ও চিনির বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
রোববার (২০ মার্চ) সিলেট নগরের আম্বরখানা, বন্দরবাজার, রিকাবীবাজার, মেডিকেল রোড, কাজিরবাজর ও কালিঘাটসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমনটা জানা যায়।
বাজারে প্রতি কেজি শিম ও বেগুন দাম বেড়ে ৫২-৫৫ টাকা, ফুলকপি ও শসা ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০টাকা, চাল কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, মুলা ২৫ টাকা এবং বাঁধা কপি, গাজর ও টমেটো ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
নগরের কাজির বাজারে সবজি কিনতে আসা সুজেল আহমদ বলেন, বাজারে প্রতিদিনই সবজির দাম চার-পাঁচ টাকা করে বাড়ছে। আগের দিন যে শিম ৪০-৪৫ টাকায় কিনেছি, পরদিন তা হয়ে যাচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা। কিছু বললে ব্যবসায়ীরা বলেন আমরাও বর্ধিত দামে কিনছি। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।
বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা করে কমেছে। এলসির ভালোমানের পেঁয়াজ গত সপ্তাহে ছিল ৫০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহে ওই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা দরে।
দাম কিছুটা কমেছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগিরও। ফার্মের মুরগির লাল ডিমের দাম ডজনে কমেছে ৪ টাকা করে। এক ডজন ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ১০৯ টাকা দরে। এক কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৮ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৬৫ টাকা দরে।
বন্দরবাজারের ডিমের আড়তের বিক্রেতা জামিল আহমদ বলেন, সব ধরনের ডিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। প্রতি ডজন লাল ডিম পাইকারি বাজারে ১০০ টাকা ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১০৭ টাকা, হাঁসের ডিম পাইকারি বাজারে প্রতি ডজন ১৯০ টাকা ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা।
ভোজ্যতেলের পাঁচ লিটার বোতল ৭৯০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে সয়াবিন তেলের দাম না বাড়লেও স্থানীয় ডিলাররা কারসাজি করে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে তেল বিক্রি করছেন বেশি দামে। কোম্পানি পর্যায়ে দাম না বাড়ায় বোতলের গায়ের মূল্য অনুযায়ী তেল বিক্রি করতে হচ্ছে আগের মূল্যেই।
মেডিকেল রোডের লিবার্টি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক আলমগীর হোসেন বলেন, আগে ডিলার থেকে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেল খুচরা ব্যবসায়ীদের দেওয়া হতো ১১৬ টাকা দরে। আর আমরা ভোক্তা পর্যায়ে এটি বিক্রি করতাম ১৩৫ টাকা দরে। কিন্তু ওই ১৩৫ টাকা দরের তেলই এখন ডিলাররা দাম বাড়িয়ে আমাদের কাছে বিক্রি করেন ১২৮ টাকা। আর আমাদের সেই আগের মতো ১৩৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। অথচ কোম্পানি পর্যায়ে এর দাম বাড়ানো হয়নি। এর ফলে দোকান ভাড়া, কর্মচারীর বেতন দিয়ে আমাদের কুলাচ্ছে না। এরপরও ভোক্তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বাধ্য হয়ে সয়াবিন তেল কেনা-বেচা করতে হচ্ছে।
বন্দরবাজার ও কালিঘাটে প্রতি কেজি চিনি ৮০ টাকা, বড় দানার মসুর ডাল ১০০ টাকা, ছোলা ৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংসের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকা দরে। প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা দরে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, কেউ যাতে নিত্যপণ্য অতিরিক্ত দরে বিক্রি করতে না পারেন এজন্য আমাদের একাধিক দল মাঠে সক্রিয় আছে। আগামীতে বাজার তদারকি আরও বাড়ানো হবে।