শিলাবৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের ছায়া ও ভেড়াডহর হাওরের বোরো ধান এবং রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। শিলাবৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ো বাতাসে কিছু কাঁচা বসতবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাগো নিউজের মাধ্যমে জানা যায়, মঙ্গলবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৮ থেকে ১০ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিলাবৃষ্টিতে শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওর পাড়ের আটগাঁও, ইউপির দাউদপুর, উজানগাঁও, মামুদনগর, গঙ্গানগর, বাহাড়া ইউপির, আঙ্গারুয়া, সুখলাইন, নোয়াগাঁও, সুলতানপুর, শাল্লা সদর, ডুমরা, মুক্তারপুর নাইন্দা, হরিপুর, খল্লী, বাহাড়া, ভেড়াডহর, প্রতাপুর, যাত্রাপুর, কান্দকলা, কলাকান্দি, বাগেরহাটি,রঘুনাথপুর, হরিনগর, মন্নানপুর ঘুঙ্গিয়ারগাঁও।
শাল্লা ইউপির, নাছিরপুর, ইয়ারাবাদ, দামপুর, শান্তিপুর গ্রামসহ আশপাশের কয়েকশ হেক্টর জমিতে প্রায় ১০ মিনিট শিলাবৃষ্টি হয়। শিলাবৃষ্টিতে রবিশস্য ও বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আনন্দপুর গ্রামের সবজি চাষি বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, এক একর জমিতে প্রতি বছর সবজি চাষ করে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা লাভবান হই। গত রাতের শিলাবৃষ্টি আমার সব স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে। এখন কী করে সংসার চালাবো চিন্তায় আছি।
নয়াগাঁও গ্রামের কৃষক দেবেশ দাস বলেন, ‘এবার বিপদে পড়েছি। ধানের চারাগুলো যখন বেড়ে উঠছে, সে সময় শিলাবৃষ্টি। এতে যে ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতি পূরণ করা যাবে না। এখন কী যে করি কিছু ভাবতে পরছি না।
শাল্লা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মাসুদ পারভেজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘রবি শস্যের তেমন ক্ষতি হয়নি। কারণ, অনেক কৃষক এর আগেই ফসল তুলেছেন। বোরো ধানের কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে আর শিলাবৃষ্টি না হলে আবার ঠিক হয়ে যাবে।’ ধানের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০০ হেক্টর হতে পারে বলেও জানান তিনি।