সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের প্রথম পাঁচ মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে যায়। তবে লেনদেনের সময় কয়েক মিনিট গড়ানোর পরেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়তে থাকে। ফলে সূচকও ঊর্ধ্বমুখী হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকে। ফলে এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৬২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু দাম বাড়ার এই ধারা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকেনি। লেনদেনের শেষদিকে এসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। এতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখীতাও কমে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৯৪১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ দশমিক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৬৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১১৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২২৭টির। আর ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ১১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৩০৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৯৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ৮৭ কোটি ১১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৮২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মা, জিনেক্স ইনফোসিস, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এনআরবিসি ব্যাংক, কাট্টালী টেক্সটাইল এবং আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৪টির এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।