ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: সেচ উন্নয়নে অতিরিক্ত ১১৪ কোটি টাকা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) নগরীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এডিবির পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এডিবি জানায়, বাংলাদেশ সরকার এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়তি অর্থায়ন করছে এডিবি। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশী মুদ্রায় ১১৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদকাল জুলাই ২০১৪ হতে জুন ২০২২ পর্যন্ত।
এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে- মুহুরী সেচ প্রকল্পের আধুনিকায়ন ও প্রকল্প সুবিধাভোগীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ। ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণের ব্যবস্থা, বন্যা প্রতিরোধ করে বিদ্যমান পানি সম্পদের কার্যকর ব্যবহার করা। এছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের আয় বৃদ্ধি ও উন্নত জীবনমান নিশ্চিতকরণ, গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প (জিকে) এবং তিস্তা সেচ প্রকল্পের অনুরূপ উন্নয়নের জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মূল প্রকল্পের জন্য ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কাজের পরিধি বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত অর্থায়ন হিসেবে ১৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ (এডিবি ১৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, জিওবি ১ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) মোট ৫৮০ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। প্রকল্পটির আওতায় সরকারি অর্থায়ন ১০৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা ও প্রকল্প সাহায্য হিসেবে এডিবি মোট ৪৭৬ কোটি টাকা দেবে। অতিরিক্ত অর্থায়ন হিসেবে এডিবি সাড়ে ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহজ শর্তে ঋণ দেবে। ঋণের বার্ষিক সুদের হার ২ শতাংশ। এ ঋণ ০৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য।