ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক:
হজের সব ধরনের খরচের বাইরে একজন যাত্রী এবার ১২০০ ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে ভ্রমণ কোটা প্রযোজ্য হবে না।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে এই সার্কুলার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়, হজের সার্বিক খরচ ছাড়া প্রত্যেক হজযাত্রী ১২০০ মার্কিন ডলার বা এর সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। তবে হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে ভ্রমণ কোটা প্রযোজ্য হবে না। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়করণের ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধিবিধান যথাযথ ভাবে অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত ও গমনেচ্ছু প্রত্যেক হজযাত্রীর সৌদি পর্বের যাবতীয় ব্যয় বাবদ সর্বনিম্ন লাখ ৪৩ হাজার ৫২৯ টাকা সমপরিমাণ ১৫ হাজার ৬২২ সৌদি রিয়াল যথাযথ আর্থিক বিধিবিধান অনুসরণ করে হজযাত্রীদের নামের তালিকা দাখিল সাপেক্ষে নিজ নিজ এজেন্সি আইবিএএনের মাধ্যমে সৌদি আরবে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বমোট হজ প্যাকেজের খরচের তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বমোট খরচ লাগবে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। এর মধ্যে বিমান ভাড়া বাবদ এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা; মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া বাবদ দুই লাখ চার হাজার ৪৪৪ টাকা ৯১ পয়সা; জেদ্দা-মক্কা-মদিনা ও আল মাশায়েলে পরিবহন ভাড়া বাবদ ৩৫ হাজার ১৬২ টাকা ৪৩ পয়সা; বাস সার্ভিস দুই হাজার ৮৩৯ টাকা; জম জম পানির দাম বাবদ ৪২৫ টাকা ৮৫ পয়সা; সার্ভিস চার্জ এক লাখ ৬০ হাজার ৬৩০ টাকা ৬২ পয়সা; মক্কা রুট সার্ভিস ৫৮৭ টাকা ৬৭ পয়সা; উন্নত মানের বাসে লাগেজ সার্ভিস ৫৯৭ টাকা ৬৭ পয়সা; উন্নতমানের বাস সার্ভিস ভাড়া ১৯ হাজার ৩৩৩ টাকা ৫৯ পয়সা; দেশে প্রত্যাবর্তনকালে লাগেজ পরিবহন ভাড়া ৮৫১ টাকা ৭০ পয়সা; ভিসা আট হাজার ৫১৭ টাকা; স্বাস্থ্য বিমা বাবদ ফি ৯৪৬ টাকা ৮১ পয়সা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (০৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।