পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) হবে ২০২২ সালের বাণিজ্যমেলা। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মেলা শুরুর অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের মেলায় চলাচলের সুবিধার্থে কুড়িল ফ্লইওভার থেকে মেলা প্রাঙ্গণে বিআরসিটিসির বাস চলবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই পূর্বাচলের রাস্তা সংস্কার করে চলাচলের জন্য উপযোগী করা হবে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আগামী ১ জানুয়ারি রাজধানীর পূর্বাচলে স্থাপিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইপিবিকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ১ জানুয়ারি মেলা শুরুর বিষয়ে অনুমতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর মেলার বিষয়ে সারাংশ পাঠানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী ১ জানুয়ারি মেলা আয়োজনের অনুমতি দেন।
কুড়িল থেকে মেলাকেন্দ্রে চলবে বিআরটিসির বাস
বাণিজ্যমেলাকে কেন্দ্র করে কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে পূর্বাচলের মেলাকেন্দ্রে বিআরটিসির বাস চলাচল করবে। মাসব্যাপী এই রুটে বিআরটিসির ৩০টি বাস চলাচলের জন্য চিঠি দিয়েছে ইপিবি। এসব বাসের ন্যূনতম একটা ভাড়া থাকবে। এতে সহজেই কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মেলাকেন্দ্রে যেতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
ইপিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার (২১ নভেম্বর) বিআরটিসিকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলায় বিআরটিসির ৩০টি বাস কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে বাণিজ্যমেলার কেন্দ্র পর্যন্ত চলাচলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে এসব বাসে ফ্রি সার্ভিস দেওয়া হবে না। ন্যূনতম একটি ভাড়ার মাধ্যমেই এসব বাসে চলাচল করতে হবে।
ডিসেম্বরের মধ্যে সড়ক সংস্কার
বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে যাওয়ার পথে সড়কের দুর্দশা নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পূর্বাচলের ১০ কিলোমিটার সড়কে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচলের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।
সম্প্রতি পূর্বাচলের রাস্তার কাজের দায়িত্বে থাকা প্রকল্প পরিচালক বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সভায় রাজউকের চেয়ারম্যান ও ঊর্ধ্বতন ইঞ্জিনিয়ার ও ইপিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, ডিসেম্বরের মধ্যে পূর্বাচলের ১০ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের জন্য উপযোগী থাকবে। দুই লেন করে দুইপাশে চার লেনে গাড়ি চলবে। কোনো কোনো জায়গায় হয়তো বেশিও থাকবে। এখনই অনেক জায়গায় প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বাণিজ্যমেলা কেন্দ্রে গেলে এই সড়ক সংস্কারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার কথা বলা হয়েছে।
মেলায় থাকবে প্রায় তিনশ স্টল
এবারের বাণিজ্যমেলায় প্রায় তিনশ স্টল থাকবে। ভেতরে এবং বাইরে মিলে এসব স্টল থাকবে। তবে মেলাকেন্দ্রের ভেতরে থাকা জায়গার মধ্যে অধিকাংশই মানুষের চলাচলের জন্য ফাঁকা রাখা হবে। আর কেন্দ্রের বাইরে ডানপাশে স্টল বসলেও, আরেকদিক সৌন্দের্যের জন্য ফাঁকা রাখা হবে।
জানা গেছে, মেলাকেন্দ্রের ভেতরে সেল স্ক্রিন দিয়ে আন্তর্জাতিক মেলাগুলোর মতো ছোট ছোট স্টল সীমানা দিয়ে দেওয়া হবে। ভেতরে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মতো করে প্রয়োজন অনুযায়ী ডেকোরেশন করবে। ইপিবির কাছে শতাধিক আবেদন আছে। আর রিজার্ভ মিলে ১২৫টি আবেদন রয়েছে।