ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) গ্রাজুয়েশনের পরও তিন বছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত ডিউটি ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১ এর ইকোনমিক টাই অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ইউরোপ: নিউ রেগুলেটরি রিজুম’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে রপ্তানি বাণিজ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। ইইউ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। ইইউ এভ্রিথিক্স বাট আর্মস স্কিমের আওতায় দেশের ৯৭ শতাংশ রপ্তানি পণ্যের ওপর জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে। গ্রাজুয়েশনের পরও তিন বছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত ডিউটি ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে। এতে করে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। বাণিজ্যক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বাংলাদেশ ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা অব্যাহত রেখেছে, যাতে বাংলাদেশ ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সব বিধি-বিধান মেনেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে এবং সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের কাছে নতুন প্রযুক্তি এবং দক্ষ জনশাক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্ববাজারের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ বা পিটিএ সই করে বাণিজ্য সুবিধা নেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নেগোসিয়েশন অব্যাহত রেখেছে।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করেছে, শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করেছে এবং কর্মবান্ধব পরিবেশে গ্রিন ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকরা কাজ করছে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশে ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হয়েছে। অনেক সময় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অসত্য তথ্য সরবরাহ ও অপপ্রচারের চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল এবং বাণিজ্যের প্রকৃত চিত্র দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, রপ্তানি কারক, ব্যবসায়ী সংগঠন এবং চেম্বারের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। যাতে করে ইইউর বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়ে।
অনুষ্ঠানে শুরুতে বক্তব্য দেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাট্রির প্রেসিডেন্ট রেজওয়ান রহমান। বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ, বিজিএমইর সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রুবানা হক, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন আজমান, ইষ্টার্নডার্ড চার্টার্ড, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাছের ইজাজ বিজয়, ইউনিলিভরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার এবং ইয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোমিন উদ দৌলা।