ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: মার্চের ২৪ দিনে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৫৯ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার। টাকার অংকে (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে) ১৭ হাজার ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
এ অর্থ আগের মাস ফেব্রুয়ারির চেয়ে বেশি। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫৬ কোটি ১৩ লাখ ডলার। আগের বছর ২০২২ সালের মার্চ মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৮৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। চলতি মার্চ মাস অবধি আগের বছরের মার্চ মাসকে ছাড়িয়ে যাবে।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
রোজা সামনে রেখে দেশে পরিবার-পরিজনের খরচের জন্য প্রবাসীরা বেশি টাকা পাঠান। রোজার শেষের দিকে প্রবাসী আয় প্রবাহ আরও বাড়বে। প্রতি বছরই এ সময়ে প্রবাসী আয় বাড়ে। দুই ঈদেই প্রবাসী আয় ঊর্ধ্বমুখী থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে আসা ১৫৯ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার প্রবাসী আয়ের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৯ কোটি ৫৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৩৬ কোটি ১৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
প্রবাসী আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানোর জন্য গত কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ইতিবাচক ফলও পাওয়া যাচ্ছিল। প্রবাসী আয় বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোর বিপরীতে নগদ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা, প্রবাসী আয় পাঠানো প্রবাসীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া, প্রবাসী আয় বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করা, অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা ও রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে।
এছাড়া, সেবার বিনিময়ে দেশে প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করার ব্যবস্থা করা হয়। ঘোষণা ছাড়াই সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ২০ হাজার মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়। সর্বশেষ এ সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এসব উদ্যোগের ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠানো বেড়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশে প্রবাসীদের যাওয়ার হারও বেড়েছে। প্রবাসী আয় বাড়ার জন্য এটা অন্যতম কারণ।
এসব কারণে প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা সূচিত হয়েছে। রোজার মাসে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠায়। এবারও পাঠানো শুরুর করেছে। এর ফলে মাসের সাত দিন থাকতেই আগের মাস ফেব্রুয়ারির চেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে।